ইসতিয়াক আহমেদ তাহের
একজন পেশাজীবী হিসেবে আমরা সবাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই ড্রীম জবের খোঁজ করি । সেই ড্রীম জবটি ঠিক কেমন হওয়া চাই ? যেমন আমরা চাই আমার এম্প্লয়ারের থাকবে সর্বাধিক পরিচিত এবং প্রশংসিত এম্প্লয়ার ব্র্যান্ড, আমার ম্যানেজার হবে অসাধারন মেন্টর, স্যালারি এবং বেনিফিট হবে আকর্ষণীয়, থাকতে হবে খুবই চমতকার কাজের পরিবেশ, অত্যন্ত বন্ধুসুলভ এবং আন্তরিক সহকর্মী এবং আমার যথেষ্ট লার্নিং অপরচুনিটি এবং পেশাগত ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ থাকতে হবে । আর হ্যাঁ, চাকরিটা অবশ্যই একেবারে ঢাকা শহরের প্রানকেন্দ্রে হতে হবে ।
তবে এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আপনার জবটি একটি প্যাকেজ ডীল । এর মধ্যে কিছু বিষয় ভাল, কিছু সন্তোষজনক এবং না চাইলেও কিছু অপছন্দনীয় বিষয় থাকবে । তাই যদিও ১০০% নিখুঁত জব খুঁজতে মানা নেই, কিন্ত জব সার্চের ক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার বিষয়ে প্রস্তত থাকতে হবে ।
এছাড়া প্রতিটি পেশার সাথেই সহজাতভাবে কিছু অপছন্দনীয় বিষয় বা পেশাগত বিপদ বা অকুপেশনাল হ্যাজার্ড থাকবেই । যেমন ধরুন আপনি বিক্রয় পেশায় বা সেল্স এ ক্যারিয়ার করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সেল্স টার্গেটের সাথে যে মানষিক চাপ বা স্ট্রেস আসে সে বিষয়টিকে মেনে নিতে হবে । ঢাকা শহরের গুলশানে বা বনানীতে তো আর কোন ফ্যাক্টরী হবে না । তাই আপনি যদি উৎপাদনমুখী কোন কারখানায় প্রোডাকশন, কোয়ালিটি বা অন্যান্য কোন পেশায় কাজ করতে চান, তবে আপনাকে নিয়মিতভাবে সাভার, টংগী, গাজীপুর, নারায়নগন্জ, ভালুকা ইতাাদি জায়গায় কাজ করতে হতে পারে । এসব জায়গায় কাজের জন্য যাতায়ত করতে আপনার দৈনিক ৩ – ৫ ঘন্টা বা তারও বেশী সময় লেগে যেতে পারে । আবার এইচআর বা মানব সম্পদ পেশায় কাজ করবেন আর আপনি সব সময় নায়ক রাজ রাজ্জাক কিংবা হালের শাকিব খানের মত জনপ্রিয় হবেন এবং কখনোই মালিক এবং কর্মীরা আপনাকে অপছন্দ করবে না তা হতেই পারে না ! আপনার অকুপেশন থাকলে তার সাথে সাথে এসব অকুপেশনাল হ্যাজার্ড চলে আসবেই ।
এখন জব সার্চের বিষয়টি একটু দেখা যাক । যেমন ধরুন আপনার বর্তমান জবে আপনি আপনার স্যালারি নিয়ে সন্তুষ্ট না এবং আপনার বর্তমান কর্মস্থলটি আপনার বাসা থেকে অনেক দূরে, ফলে প্রতিদিন অনেক সময় যাতায়াতে ব্যয় হয় । জব সার্চের এক পর্যায়ে আপনি পছন্দসই এমন একটি জব পেয়ে গেলেন যেখানে আপনার ঐ দুটি মুল সমস্যার সমাধান হয়ে গেল, অর্থাৎ স্যালারি আপনার পছন্দমত হল এবং নতুন কর্মস্থলের দুরত্ব তুলনামূলক কম হওয়ায় আপনার দৈনিক অফিসে যাতায়তের মোট সময় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসল ।
তো আপনি আপনার জীবনের সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে ভেবে নতুন জবে জয়েন করলেন । কিন্ত কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারলেন যে এখানে অফিস আওয়ার বলে কিছুই নেই । প্রতিদিন অন্তত রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করতে হয় এবং সপ্তাহিক ছুটির দিনেও প্রায়ই কাজ করতে হয় । অথচ আপনার আগের জবে আপনি প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার মধ্যে নির্বিঘ্নে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে পারতেন এবং ছুটির দিনে আপনাকে কখনোই কাজ করতে হয়নি । এছাড়া এখানকার সহকর্মীরাও আগের কোম্পানির সহকর্মীদের মত এতটা আন্তরিক না, তাই পুরা কাজের পরিবেশটায় একটা দম বন্ধ হয়ে আসার মত ব্যাপার আছে । নতুন কাজে যোগদানের এক মাসের মধ্যেই আপনি একদম হাঁপিয়ে উঠলেন এবং আপনি বুঝতে পারলেন যে এ জবটি সম্পর্কে পরিপূর্ন খোঁজ খবর না নিয়ে আগের জবটি ছেড়ে আসা একেবারেই ঠিক হয়নি ।
.
একজন রিক্রুটার হিসেবে কাজ করতে যেয়ে আমি এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখছি । এজন্যই প্রথমেই বলেছিলাম যে আপনার জবটি একটা প্যাকেজ ডীল, যার মধ্য ভাল মন্দ দুইই থাকবে । ধরুন আপনার বর্তমান জবে ২০% বিষয় আপনার কাছে অপছন্দনীয় । এখন আপনি এমন একটি জব খুঁজছেন যেখানে ঐ ২০% সমস্যার সমাধান হবে । কিন্ত বাস্তবতা হল আপনার নতুন জবে ঐ ২০% সমাধান হলেও পুর্বের জবে যে ৮০% বিষয় ভাল ছিল, সেখান আবার ৩০% খারাপ কোন বিষয় চলে আসতে পারে । অর্থাৎ আপনার পুর্বের সমস্যার সমাধান হলেও এর সাথে সাথে নতুন কিছু সমস্যার আবির্ভাব হতে পারে । ফলে সার্বিকভাবে আপনি নতুন জবে পুর্বের থেকেও খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ে যেতে পারেন ।
এখন প্রশ্ন হল, তবে আপনি কিভাবে জব সার্চ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব, আপনি একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন । প্রথমেই বলতে হবে যে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী ১০০% পছন্দ হয় এমন জব খুঁজতে কোন দোষ নেই, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে ছাড় দেয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তত থাকতে হবে । এরপর জব সার্চ শুরু করার আগে ঐ জব থেকে আপনার চাহিদাগুলেকে বিভিন্ন ফ্যাক্টরে ভাগ করুন এবং ফ্যাক্টরগুলেকে তাদের গুরুত্ব অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করুন । প্রথম ক্যাটাগরী: “অত্যাবশ্যকীয়”, যেগুলো আপনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এক্ষেত্রে আপনি কোনভাবেই ছাড় দিতে ইচ্ছুক নন । দ্বিতীয় ক্যাটাগরী: “আবশ্যক”, এগুলোও আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ । তবে প্রথম ক্যাটাগরীর ফ্যাক্টরগুলো প্রাপ্তি সাপেক্ষে আপনি এগুলোর ক্ষেত্রে আংশিক ছাড় দিতে প্রস্তত আছেন । তৃতীয়ত: “প্রত্যাশিত”, অর্থাৎ এ ফ্যাক্টরগুলো আপনি পাবেন বলে আশা করছেন তবে না পেলে আপনার বড় রকমের কোন অসুবিধা হবে না ।
এখন জব অফার পাওয়ার পর আপনি যদি আপনার অফারটিকে ঐ তিন ক্যাটাগরী ফ্যাক্টরের আলোকে সঠিক ভাবে নীরিক্ষা করে জবটি সম্পর্কে আপনার চুড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নিতে পারেন, তবে নতুন জবে যোগদানের পর আপনার আশাহত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আশা করি । তবে নতুন জব সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে জবে যোগদানের পুর্বে আপনার সম্ভাব্য নতুন এম্প্লয়ার এবং এ জবটি সম্পর্কে যথাযথ সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরী ।
তবে আমার এই লেখাটি পরে অনেকেই মনে করতে পারেন যে আমি মনে হয় চাকরি পরিবর্তন বা নতুন জব সার্চ করতে সবাইকে নিরুৎসাহিক করছি । ব্যাপারটি আসলে তা নয় । আমার এ লেখাটির উদ্দেশ্য হল আমরা যেন আমাদের পেশাগত ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে আবেগনির্ভর না হয়ে অত্যন্ত অবজেকটিভভাবে আমাদের ক্যারিয়ার গঠনে সচেষ্ট হই । তবেই আমরা নিজ নিজ পেশা নিয়ে অনেক অনাকাংখিত পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যেতে পারব ।
ইসতিয়াক আহমেদ তাহের একজন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরামর্শক
চাকরি পরিবর্তন খুব স্পর্শকাতর বিষয় যদিও আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সাময়িক আবেগ হতে সিদ্ধান্ত নেই এবং এমন সব পরিস্থিতির সম্মুখীন হই যা হয়তো চিন্তাতেও ছিলো না।
প্রত্যাশিত চাকরি পরিবর্তনকে উপভোগ্য করতে আপনার পরামর্শ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্যারিয়ারে আবেগ নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা, যা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সহায়ক। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে এই দক্ষতা অর্জন সম্ভব, যা দীর্ঘমেয়াদে পেশাগত উন্নতি এবং ভালো সম্পর্ক দুটিই নিশ্চিত করে।
ধন্যবাদ ইসতিয়াক ভাই অত্যন্ত মূল্যবান বিষয় তুলে ধরার জন্য ।
প্রতিটি জায়গায় কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, সেটা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকলেই জীবনে উন্নতি করা সম্ভব। কারণ পুরো পৃথিবীটাই হলো সমস্যা দিয়ে ভরপুর, এখান থেকে নিস্তার পাওয়ার চিন্তা করাটা বৃথা। তাই আমাদের পত্যেকের উচিত হবে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া। কারণ আবেগের বসে নিলে ফলাফল কখনো ভালো হয় না।
ধন্যবাদ ইশতিয়াক ভাই, আপনার জ্ঞানগর্ভ বিষয় আলোচনার করার জন্য।
Rightly articulated, personal focus area and decision should be aligned for selecting a particular job.
Thank you very much.
Need to evaluate your job duration carefully; many longer term benefits like PF, Gratuity depends on certain job duration. While job change, need to calculate the opportunity cost; e.g. if you want to change at the 9th year of your job and the gratuity is 1.5 times after 10th year; that calculation should reflect in your expected package. It is better to stay longer in a company where long term benefits are lucrative; many short term changes may jeopardise your retirement plan.
আপনার এই বিশ্লেষণটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং শিক্ষণীয়। চাকরির সন্ধানে সঠিক তথ্য ও পরিকল্পনা থাকা জরুরি, কারণ প্রত্যেক চাকরি একটি প্যাকেজ ডিল—এতে সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই থাকবে। ক্যারিয়ার নির্মাণের ক্ষেত্রে আবেগের চেয়ে যুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক বেশি কার্যকর। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পেশাগত উন্নয়নকে সমৃদ্ধ করবে এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করবে।
I think its probably depends on his / her current job situation. Just simply thinking that when someone wants to switch jobs he must remember that working your emediate boss is like a pararants you know…. You may change the workplace or environment but you can’t leave your parents as well as your boss. Whatever they are blessings or nightmare….
Its my only personal opinion 🙂
আমি মনে করি, যারা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আছে তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষণীয় একটা বিষয় খুব সুন্দরভাবে উপস্হাপিত হয়েছে আপনার আলোচনায়। বেশিরভাগ ব্যক্তিই ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কোন ধরনের SWOT Analysis না করে আবেগতাড়িত হয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নেয় যা তার ক্যারিয়ারের জন্য চরম বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাড়ায়, যা ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে কমতে থাকে। নিজের মধ্যে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর প্রবনতা বৃদ্ধি এবং একেবারেই না ভাল লাগলে সময় নিয়ে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে ভাল প্রতিষ্ঠান দেখে চাকুরি পরিবর্তন করা শ্রেয়। হুটহাট সিদ্ধান্ত কখনোই ভাল কিছু বয়ে আনে না ক্যারিয়ারের জন্য। সর্বোপরি, এ ধরনের আলোচনা আমাদের বাস্বব ক্যারিয়ার নিয়ে বিশ্লেষণ করার পরিধি বাড়িয়ে দেয় ও সচেতন হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্যমূলক দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় থাকব।
If we can make sure to develop our skills, than ratio of percentage is increasing to get dream Job.
Excellent and realistic write up bhai.
People often seek their “dream job” as a way to achieve personal fulfillment, but this ideal is rarely a ready-made package. Instead, it resembles tailoring a suit—finding the perfect fit often requires adjustments. Just as a gardener cultivates plants through consistent care, individuals must actively nurture their careers by identifying interests, developing skills, and eliminating distractions.
Building a house also serves as an analogy; while you start with a blueprint, you must adapt to challenges along the way. Similarly, pursuing a dream job involves creating your own path through flexibility and creativity.
Ultimately, crafting your dream job is about envisioning what you want and taking deliberate steps to make it a reality. Embracing this proactive mindset leads to greater job satisfaction and personal growth, transforming the journey into an opportunity for fulfillment rather than merely searching for an elusive position.
Thank you @Ishtiak Bhai!
Appreciate your detail explanation on the key points. Managing the expectations and doing a fact check can help both the job seeker and the recruiter.
আমি গত ১৪ বছরে দুই ধরনের কাজ করেছি:
১) প্রচন্ড পরিশ্রম, পরিবার সমাজ সামাজিকতা সব বাদ দিয়ে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা কাজ। যেহেতু পড়াশোনার সময়ও পেতাম না, MBA থেকেও dismissal এ পড়েছি তখন। Extremely competitive, and in some cases, destructive environment. তবে বেতন অনেক বেশী।
২) Highly flexible work time and responsibilities. অসাধারণ সুন্দর কর্মপরিবেশ। শুধু কর্মপরিবেশ যদি কেউ prefer করেন, তাহল there can be no better workplace than that one, at least in our country. সমস্যা ওই একটাই, ১ নং পয়েন্টে বলা কাজের সম্মানীর চাইতে এখানকার সম্মানী কম।
দুইটা জায়গাতেই কিছু না কিছু dissatisfaction সবার মধ্যেই আছে। ১ নং পয়েন্টের চাকরীর dissatisfaction তো আর বলে বোঝানোর কিছু নাই; তবে সেই চাকরীর সমপরিমাণ বেতন, অন্য কোন industry offer করে না। আবার ২ নং পয়েন্টের চাকরীতে বেতন কম; সবাই সারাদিন বেশী বেতনের অন্য চাকরী খুঁজছে; আবার যারা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে, তারা আবার নতুন জায়গার পরিবেশ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন, যেহেতু আগের জায়গার কর্মপরিবেশ খুবই ভাল ছিল।
Within the scope of my very limited knowledge and experience, my opinion is to undertake the strategy of satisficing. (https://en.wikipedia.org/wiki/Satisficing)
যেহেতু কোন কাজই কারো শতভাগ চাহিদা পূরণ করতে পারে না, আবার একেকজনের চাহিদা একেকরকম, সেহেতু নিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাকে সঠিকভাবে নিরূপণ করাটা জরুরী। যদি বর্তমান চাকরী সেই চাহিদার সিংহভাগ পূরণে সক্ষম হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে আমরা সঠিক প্রতিষ্ঠানে আছি।